এদিন সকালে চাঁদপুর সদর থানার সামনে বিএলএফ বাহিনীর প্রধান মরহুম রবিউল আউয়াল কিরণ প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।
১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল চাঁদপুরে দখলদার বাহিনী দু’টি বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে প্রথম আক্রমণর সূচনা করে।
৬ ডিসেম্বর যৌথ বহিনী হাজীগঞ্জ দিয়ে চাঁদপুরে আসতে থাকলে মুক্তিসেনা পাকহানাদার বাহিনী প্রতিরোধের সম্মুখিন হয়। ভারতের মাউন্টেন ব্রিগেড ও ইস্টার্ন সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা যৌথ আক্রমণ চালায়। উপায়ন্তর না পেয়ে পাকিস্তানের ৩৯ অস্থায়ী ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল রহিম খান চাঁদপুর থেকে পালিয়ে যায়।
৩৬ ঘণ্টার তীব্র লাড়াইয়ের পর ৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ শহর এবং বিনা প্রতিরোধেই চাঁদপুর শহর মুক্ত হয়। জেলার সব স্থান থেকে পাকহানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়। রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অনেকে পালিয়ে যায় আবার কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়।
মুক্তিযুদ্ধে অগণিত শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে লেকের পাড়ে নির্মিত হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘অঙ্গীকার’। দেশের প্রথিতযশা ভাস্কর্য শিল্পী আব্দুল্লাহ খালিদ এটি নির্মাণ করেছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকাসহ স্থাপন করা হয় আরেকটিস্তম্ভ। এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলার নাসিরকোর্ট নিহত ১১জন শহীদের কবরসহ স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।
২০০৬ সালে চাঁদপুরে প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কালাম, খালেক, সুশীল ও শংকরের জন্য শহরের ট্রাক রোডে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ২০১২ সালে শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে নির্মিত শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ ‘রক্তধারা’। মোলহেডে বহু মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করার পর হাত পা বেঁধে মেঘনা নদীতে নিক্ষেপ করে পাকহানাদার বাহিনী।
চাঁদপুর হানাদার মুক্তদিবস উপলক্ষে ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনসহ ২৬তম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করা হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি এমপি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এএটি