এ অঞ্চলের যুদ্ধে নেতৃত্বে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরী।
জানা যায়, ৭১ এর ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ দক্ষিণ দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
শহরের চারপাশে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর শক্ত অবস্থানে থাকায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে।
তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কেএম লুৎফুর রহমানসহ কারাগারে আটকে রাখা অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে পৌর শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী।
শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা কলেজের হোস্টেল, অন্নদা স্কুল বোর্ডিং, বাজার ও গুদামসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
৭ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর বিনাযুদ্ধেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদ্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদ জানান, মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জহুর আহমেদ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
একই দিনে সরাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পরাস্ত হয়ে হানাদাররা পালিয়ে গেলে সরাইল শত্রু মুক্ত হয়।
মুক্ত দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটি ৪৫ জন শিশু দিয়ে ৬৪টি জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে নানা কর্মসূচি পালন করবে। শুক্রবার সকাল ১০টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দও ভাষা চত্বর ও শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতীকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
বিএস