বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আবুল কালাম তোরাবগঞ্জ এলাকার আনোয়ার আলীর ছেলে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁও থানা পুলিশের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কমলনগরের তোরামগঞ্জ এলাকা থেকে তালপ্রাপ্ত স্ত্রীকে আবুল কালাম তার আরও দুই মিলে অপহরণ করে রাতভর গণধর্ষণ করে। ভোরে তারা ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরদিন ১৮ নভেম্বর দুপুরে ওই নারীর মা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। নির্যাতিত নারী কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি গ্রামের একদরিদ্র কৃষকের মেয়ে।
স্বজনরা অভিযোগ করেন, ১০ বছর আগে আবুল কালামের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে একাধিকবার নানা অজুহাতে যৌতুক নেন কালাম। এরপর আরও যৌতুকের দাবি করতে থাকেন তিনি। গত বছর ৫০ হাজার টাকার যৌতুকের জন্য চাপ দেন তিনি। টাকা না দেওয়ায় নির্যাতন করতে থাকেন স্ত্রীকে।
‘উপায় না দেখে আদালতের মাধ্যমে ছয় মাস আগে কালামকে তালাক দেন তার স্ত্রী। এর জের ধরে ওই কালাম তার আরও তিন বন্ধুকে নিয়ে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে চুল কেটে নির্যাতন, মারধর ও গণধর্ষণ করেন। ’ বলেন স্বজনরা।
ঘটনার পরের দিন ১৮ নভেম্বর নির্যাতিত ওই নারীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলা অভিযুক্ত আসামি সাবেক স্বামীর বন্ধু তোরাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. বাবলুকে ওই রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সাবেক স্বামী আবুল কালাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
জিপি