ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছেলের পর মারা গেলেন দগ্ধ মাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৭
ছেলের পর মারা গেলেন দগ্ধ মাও

বরিশাল: আগুনে পুড়ে ছেলের মৃত্যুর  ক’দিন পরেই মারা গেলেন দগ্ধ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালেহা আক্তারও। 

১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।  

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।

পরে সহকর্মীদের অনুরোধে দুপুরে মরদেহ শেবাচিম হাসপাতালের সেন্ট্রাল মসজিদে জানাজার জন্য নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয় ও সহকর্মীরা জানান, ছেলে রুবেল মোটরসাইকেল কেনার আবদার করে সে আবদার পূরণে অভিভাবকরা রাজি না হলে অভিমান করে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন রুবেল। সে আগুন নেভাতে গিয়ে মা সালেহা আক্তারও অগ্নিদগ্ধ হন।

তবে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তির সময় সালেহার স্বজনরা বলে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনি দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরতরা।

ঢামেক হাসপাতাল থেকে সালেহার মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, মায়ের মৃত্যুর সপ্তাহ খানেক আগে ছেলে রুবেলের (২০) মৃত্যু হয়। উভয়ই আগুনে পুড়ে দগ্ধ হলে গুরুতর অবস্থায় গত ২২ নভেম্বর রাতে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতে মা ও ছেলেকে মুমূর্ষু ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

তিনি আরও জানান, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে ছেলে রুবেলের মৃত্যু হয়। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মায়ের মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর খবরে স্বজন ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু ডায়েরিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স মৃত সালেহা আক্তার (৫০) বরিশাল নগরের ২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও একই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. হানিফের স্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।