আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, চট্টগাম ও ঢাকা বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী (২৩-৪৩ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘন্টা) বর্ষণ হতে পারে।
এরই মধ্যে ঢাকায় সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর দুপুর থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫০৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
আরআই/এমআইএইচ