নিহত অপর দু’জন হলেন- ঠাকুরগাঁও সদরের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মাইক্রোবাসের চালক মনসুর রহমান (৩৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মাইক্রোবাসের আরেক যাত্রী আল-আমিন (৩০)।
এর আগে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়ায় এলাকার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে মিরা বেগম (৩৮) নামে এক নারী যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হন। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর চালক মনসুর ও যাত্রী আল-আমিনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে নিহত মিরা বেগমের স্বামী গোলাম কিবরিয়া ও তার ছেলে মাহমুদুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাস্থলে নিহত মিরা বেগম চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বালুটঙ্গি গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী। হতাহতরা মিরা বেগমের ভাসুরের দাফনে অংশ নিয়ে ঢাকা থেকে ভোলাহাট ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন।
রাজশাহীর পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ওই নারী যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন আরও চার যাত্রী। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমে আহতদের এখানে আনা হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান খান ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দু’টি সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ময়নাতদন্তের পর ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭/আপডেট সময়: ১৮২৬
এসএস/জিপি