শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলন কক্ষে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ রোডম্যাপ তুলে ধরেন। এ সময় রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সরকার ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান বাদশা।
রাজশাহীতে শিল্পের বিকাশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্যের ঘোষিত রোডম্যাপে। এছাড়া রোডম্যাপে এ অঞ্চলের বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়েছে। বাদশা মনে করেন, এসব বাস্তবায়ন হলে রাজশাহীকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, রাজশাহীকে এগিয়ে নিতে তিনি দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকা ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানা চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানটিতে পরীক্ষামূলকভাবে কাপড় উৎপাদনও শুরু হয়েছে। শিগগিরই কারখানাটি আনুষ্ঠানিক উৎপাদনে যাবে। তখন কারখানায় একটি শো-রুমও স্থাপন করা হবে। সেখান থেকেই রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম কাপড়ের পোশাক মিলবে।
উন্নয়নের জন্য এখন গার্মেন্টস খুব গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। কিন্তু গার্মেন্টসগুলো শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলে গড়ে উঠছে। ব্যবসায়ীরা তৈরি পোশাক রফতানিতে পাঁচ শতাংশ শুল্ক ছাড় পান। সরকার এ অর্থ ভর্তুকি দেয়। রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে গার্মেন্টস কারখানা গড়ে তুলতে হলে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের জন্য ১০ শতাংশ শুল্ক মওকু্ফের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আরও বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে শিল্পায়নের জন্য দরকার উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানের করে কার্গো প্লেন ওঠানামার উপযোগী করা খুবই প্রয়োজন। পাশাপাশি আব্দুলপুর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত রেললাইনকে ডুয়েল গেজ করা প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
এসএস/জেডএস