দিবসটির স্মরণে শনিবার সকালে ফরিদপুর শহরের আলীপুর কবরস্থানে করিমপুরের যুদ্ধে নিহত শহীদ সালাউদ্দীনসহ একই সাথে শাহাদত বরণ করা অন্যান্য শহীদদের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
৯ ডিসেম্বর বোয়ালমারীর নতুবদিয়া ক্যাম্প থেকে কাজী সালাউদ্দীনের নেতৃত্বে ৪০জন মুক্তিযোদ্ধা ফরিদপুর শহর থেকে ১৪ কি.মি. দূরে করিমপুর নামক স্থানে দিনব্যাপী পাকিস্তানি সেনাদের সাথে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়।
যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ওই দিন যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলো সে বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। সেখানে গুলিবিদ্ধ ও দগ্ধ হয়ে শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা কাজী সালাউদ্দিন, নৌফেল, আব্দুল ওয়াহাব, সোহরাব হোসেন, আব্দুল আওয়াল, আব্দুল হামিদ ও মজিবুর রহমান।
গ্রামবাসীদের মধ্যে শহীদ হন বাকেল উদ্দীন মন্ডল, হযরত উদ্দীন মন্ডল, হাশেম আলী মন্ডল ও আবু খাঁ।
আলীপুর কবরস্থানে শহীদদের কবরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ কাজী সালাউদ্দীনের ভাই মুক্তিযোদ্ধা কাজী তাসলিম, আমিনুর রহমান ফরিদ, খলিলুর রহমান, শামসুদ্দীন মোল্লাসহ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
আরআই