তবে আটকাপড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পেট্রোবাংলার সহকারী ব্যবস্থাপক (সাধারণ) জিয়াউল করিম বলেন, শুক্রবার সকালে পরিবার নিয়ে এখানে আসি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, নিম্নচাপটি আরও উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ৩ নং সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগর ও নাফ নদীতে মাছ ধরা ও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দবাদের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, সাগর উত্তাল ও বৈরি আবহাওয়ার জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভ্রমণে আসা প্রায় ছয় শতাধিকের মতো পর্যটক দ্বীপে রয়েছেন। তবে তারা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে আছেন।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, শনিবার সকালে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে প্রায় চার শতাধিক পর্যটক টেকনাফ ফিরে গেছেন। তবে এখনো দ্বীপে ছয় শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েন। তাদের যেন খাদ্যসহ কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির আহ্বায়ক সিদ্দীকুর রহমান বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে আটকে পড়া পর্যটকদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
জেডএস