ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিদ্যুৎহীন রাজশাহী!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
বিদ্যুৎহীন রাজশাহী! ফাইল ছবি

রাজশাহী: গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও ঝড়-ঝাপটা ছিল না, ছিল না যান্ত্রিক কোনো ত্রুটিও। এরপরও শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত গোটা রাজশাহীতে বিদ্যুৎ ছিল না। 

কেন এ বিপর্যয়? তার প্রকৃত জানতে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চেষ্টা করা হলেও বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো কর্মকর্তা তার প্রকৃত কারণ জানাতে চাননি।  

একে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, তার ওপর বিদ্যুৎ গোলযোগ।

সন্ধ্যা নামার পর দুইয়ে মিলে ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয় বিভাগীয় শহর রাজশাহী। দুর্ভোগে পড়ে সন্ধ্যার মধ্যেই শহরের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎহীন শহরে সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাড়িমুখো মানুষকে রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজি না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় জরুরি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। হঠাৎ এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ক্ষোভ জন্মে নগরবাসীর মধ্যে।

খোঁজ নিতে গেলে মহানগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালীতে থাকা পাওয়ার গ্রিড কন্ট্রোল রুমের কর্মচারী জানান, জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ পৌনে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল রাজশাহী মহানগরী। ট্রান্সফরমারে পাখির বিষ্ঠা জমা হয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। অতঃপর সে বিষ্ঠা পরিস্কার করা হলে রাতে রাজশাহীর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আবারও সচল হয়।  

তবে এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি কাটাখালী পাওয়ার গ্রিডের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী পিজুস কুমার। জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দেন, নিষেধ আছে। এ ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কারণটি জানতে হবে।  

কিন্তু রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) প্রধান প্রকৌশলীর নম্বরে যোগাযোগ করা হলে শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তা বন্ধ পাওয়া যায়।  

পরে জানতে চাইলে বিদ্যুতের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, শনিবার বিকেল ৩টা ৪৪ মিনিটে জাতীয় গ্রিডের কাটাখালী পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়।  

ত্রুটি চিহ্নিত ও জরুরিভাবে মেরামতের পর সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মহানগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু হয়। তবে কী ত্রুটি ছিল, বলতে চাননি এই কর্মকর্তাও।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এসএস/আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।