রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিআরটিএ'র কার্যালয় অভিমুখে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে রওনা দেন প্রায় ৫'শ সিএনজি অটোরিকশা চালক ও শ্রমিক।
সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কর্তৃক বিআরটিএ কার্যালয় ঘেরাওয়ের খবরে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ঢাকা জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন দুলাল বিআরটিএ'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তাদের লিখিত দাবি-দাওয়া পেশ করেন।
এ সময় সাখাওয়াত হোসেন দুলাল বলেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়ায় আজ রোববার বিআরটিএ কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়। আট দফা দাবিতে আমরা শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছি।
দাবি আদায় না হলে ঘোষণা অনুযায়ী অটোরিকশা চালক-শ্রমিকরা ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা ও চট্টগ্রামে ধর্মঘট পালন করবেন। এর পরেও দাবি পূরণ না হলে ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই মহানগরে লাগাতার ধর্মঘট শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
বিআরটিএ ঘেরাও কর্মসূচি সফল হয়েছে দাবি করেন তিনি আরো বলেন, বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ এর সহকারী পরিচালক শামসুল কবিরসহ কয়েকজন কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের হাতে আমরা লিখিত দাবি পেশ করেছি।
এ বিষয়ে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিদকার মো. শামীম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের লিখিত দাবি-দাওয়া বিআরটিএ বরাবর পেশ করার মাধ্যমে তাদেরকে ঘেরাও কর্মসূচি থেকে নিবৃত করা হয়েছে।
ঐক্য পরিষদের আট দফা দাবিগুলো হলো- ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচল করা মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশা অপসারণ করে নতুন অটোরিকশা প্রতিস্থাপন, ঢাকায় চালকদের নামে পাঁচ হাজার এবং চট্টগ্রামে চার হাজার অটোরিকশা বিতরণ, উবার, পাঠাওয়ের মত অ্যাপ নির্ভর পরিবহন সেবা বন্ধ করা, খসড়া পরিবহন আইন থেকে ‘শ্রমিক স্বার্থবিরোধী’ ধারা বাতিল, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে ব্যবহারিক পরীক্ষা বন্ধ করা, অননুমোদিত পার্কিংয়ের জন্য মামলা না করা, চালকদের ‘হয়রানি’ বন্ধ করা ও নিবন্ধিত অটোরিকশা চালকদের ঢাকা জেলার সব জায়গায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
পিএম/বিএস