শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে সংঘর্ষে আহত হন তিনি।
এলাকাবাসী জানান, ওয়াহাব মিয়ার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ৮ শতাংশ জমি নিয়ে তার সঙ্গে প্রতিবেশী আবু তালেবের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে গত ৪ ডিসেম্বর ভোরে দু’জনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ওয়াহাবের স্বজনরা অভিযোগ করেন, সংঘর্ষের মধ্যে আবু তালেব ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওয়াহাব মিয়া ও তার তিন ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রমেক হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু শনিবার রাতে ওয়াহাব মিয়া মারা যান।
এরপর শনিবার রাতেই ওয়াহাব মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আবু তালেবকে গ্রেফতার করে।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান প্রধান বাংলানিউজকে জানান, শনিবার রাতে হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আবু তালেবকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এইচএ/