রোববার (১০ ডিসেম্বর) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন- সাবেক ভিসিপন্থী শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষক সমিতি কার্যকরী পরিষদ ও সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশব্যাপী বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে শিক্ষকদের একদিনের সমপরিমাণ বেতনের অর্থ অনুদানের জন্য ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-পরিচালক বরারবর আবেদন করে। তবে ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও ড. দুলাল চন্দ নন্দী ১৮ সেপ্টেম্বর এর বিরোধিতা করে উপ-পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগের বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আবেদন করেন। শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাব থেকে বন্যার্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের কথা বলে কর্তৃত্বহীনভাবে ৮০ হাজার ৭১ টাকার একটি চেক কোনো প্রাপক বা বাহক ছাড়া অনুমোদন করিয়ে নেন বলে জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ অবস্থায় শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৪ (খ) ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এই মর্মে আগামী তিন কার্যদিবস সময় বেধে দিয়ে ড. কামাল ও ড. নন্দীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় সমিতি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি চিঠি পাইনি। শিক্ষক সমিতি এ রকম চিঠি দিতে পারে না। ’
একই অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীর সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এনটি