এমনটাই জানালেন সাবেক কোনাবাড়ী ইউনিয়ন ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন বকুল মোল্লা।
স্থানীয় লোকজন ও ইটভাটার মালিকদের সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কড্ডা, কোনাবাড়ী, ইসলামপুর, বাইমাইল, আহাকী, জয়েরটেক, নাওজোর, কাতলাখালী ও বাঘিয়া এলাকায় প্রায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে।
ইটভাটার মালিকদের বক্তব্য, এই শীতের আর শুকনার মওসুমে এমন টানা বৃষ্টি হবে, এমনটি তারা কেউই আশা করেননি। হঠাৎ যে এমন বৃষ্টি হবে তা বুঝতে না পারায় তারা মালিকরাও বৃষ্টি মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিলেন না। ইটভাটায় রাখা ছিল না পর্যাপ্ত পলিথিন। এ কারণে প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হওয়ায় তাদের এখন বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে। এটা অপ্রত্যাশিত।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরেই ইটভাটাগুলোর শতশত শ্রমিক বেকার সময় পার করছেন। আয়-রোজগার বলে আর কিছু নেই তাদের। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ইটভাটাগুলোর আগুন নিভে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
ভাটা মালিকরা আশঙ্কা করছেন, আরো দুই-এক দিন এভাবে বৃষ্টি থাকলে সব ইটভাটার আগুন নিভে যাবে। এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের।
সাবেক কোনাবাড়ী ইউনিয়ন ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন বকুল মোল্লা বাংলানিউজকে জানান, এমন করে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হবে কেউই বুঝে উঠতে পারিনি। টানা বৃষ্টির কারণে লাখ লাখ কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ইটভাটায় পর্যাপ্ত পলিথিন রাখা ছিল না। তবে কিছু কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলেও নিচে পানি জমে তা-ও নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েকটি এলাকায় প্রায় শতাধিক ইটভাটার কাঁচা ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে আনুমানিক ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭।
আরএস/জেএম