তিনি বলেছেন, এ সার্টিফিকেট (সনদ) ও পরিচয়পত্র মেশিনে ধরলে জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ বেজে উঠবে। দেখা যাবে আমাদের লাল-সবুজের পতাকা।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ময়মনসিংহ শহরের ছোট বাজার মুক্তমঞ্চে ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সরকারের একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, জানুয়ারি মাস থেকে দেশের অস্বচ্ছল সব মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। মুক্তিযোদ্ধারা এখন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় দু’টি বোনাস পান।
‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের স্বীকৃতি স্বরূপ এবং পহেলা বৈশাখ- এ তিন দিবসে বোনাস দেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছি। আগামী অর্থবছরে ১ জুলাই থেকে যে বাজেট চালু হবে তাতে এ সুযোগ সুবিধাগুলো থাকবে। ’
সারা দেশে একই ডিজাইনে মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর নির্মাণ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেসব জায়গায় পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে সেখানে একই ডিজাইনের স্মৃতিসৌধ হবে।
‘একই ডিজাইনে সব বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হবে। বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। সারা দেশে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে। ’
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের সংসদ সদস্য ডা. এম আমান উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা।
আলোচনায় অংশ নেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খোকন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এমএএএম/এমএ