রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে নগরের রুপাতলী এলাকার শের-ই-বাংলা রোডের একটি বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে আবু সালেহর ওপর হামলা হয়।
আবু সালেহ নগরের রুপাতলী এলাকার শের-ই-বাংলা রোডের মৃধা বাড়ির লিটন মৃধার ছেলে। তিনি বরিশাল নগরের নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আবু সালেহর সঙ্গে একই এলাকার হৃদয় নামে এক যুবকের বাকবিতাণ্ডা হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হলে স্থানীয় পর্যায়ে তাৎক্ষণিক তা মীমাংসা করে দেওয়া হয়। সোমবার রাতে আবু সালেহ বাড়ির সামনের সড়কের একটি বন্ধ দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে হৃদয় তার ওপর হামলা চালায়। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে নিহতের মামা মাসুম বিল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আবু সালেহর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন হৃদয়। রাতে আবু সালেহ প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ির সামনের সড়কে গিয়ে দাড়ালে শাপল দিয়ে তার শরীর ও মাথায় আঘাত করেন হৃদয়।
হৃদয় ওই এলাকার আতাউর রহমান সুজনের ছেলে ও নগরের সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফরহাদ সরদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সিনিয়র-জুনিয়রকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকণ্ডা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
টিএ