সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ইউনিয়নের পূর্ব জোড়খালী গ্রামে পল্লী চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিনের বাড়িতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-পল্লী চিকিৎসক মো. রিয়াজ উদ্দিন (৩৬), নুর উদ্দিন (৫০), মো. মহি উদ্দিন (৪৬), মো. অলি উদ্দিন (৪০), রহিম উদ্দিন (৩২), রোকসানা বেগম (৩৫), রিয়া বেগম (১২), মো. আবুল কাশেম (৬৫), মো. আব্দুর রহমান (৩৫), রুমি বেগম (২৯), মো. নিজাম উদ্দিন (৩০), মো. আবু তাহেরসহ (৪৫) ২০ জন।
আহত ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের পূর্ব জোড়খালী গ্রামের মো. নাছির উদ্দিনের সঙ্গে একই বাড়ির আবুল কাশেমদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে কয়েকবার গ্রাম পর্যায়ে ও হাতিয়া থানায় সালিশ বৈঠকও হয়। বৈঠকে সালিশদাররা সিদ্ধান্ত দেন জায়গার মালিক মো. নাছির উদ্দিন। এ মর্মে হাতিয়া থানা থেকে সালিশ রোয়েদাদ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে মো. নাছির উদ্দিনের বড় ছেলে পল্লী চিকিৎসক মো. রিয়াজ উদ্দিন পুকুরে মাছ ধরতে গেলে একই বাড়ির মো. আবুল কাশেম তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবুল কাশেম প্রতিপক্ষ রিয়াজ উদ্দিনকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এসময় রিয়াজের চিৎকারে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে এলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষে পল্লী চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিনসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়।
আহত অবস্থায় ১২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রিয়াজ উদ্দিন ও নুর উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ