গ্রেফতারকৃত ওমর ফারুককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, শিশু মীম হত্যার ঘটনায় রোববার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে চান্দিনার বদরপুরের মেহার এলাকা থেকে ওমর ফারুককে (১৯) আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, শিশু মীমের বাবা কোরবান আলীর কাছ যে মোবাইল নম্বর থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিলো। ওই নম্বরের সূত্র ধরেই ওমর ফারুককে আটক করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওমর ফারুক জানিয়েছেন, গত ৬ ডিসেম্বর দুপুরে একটি প্রাইভেটকারে মীমকে তুলে রেদোয়ান আহম্মেদের ইটভাটার কাছে নিয়ে যান তিনি। এ সময় গাড়ির ভেতরে অসৎ উদ্দেশ্যে ভিকটিমের শরীর স্পর্শ করেন ওমর ফারুক। বিষয়টি মীম তার বাবাকে বলে দেওয়ার কথা বললে ওমর ফারুক তাকে ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
প্রথমে ওমর ফারুক মীমের মরদেহ গাড়ির ব্যাকডালাতে রাখেন। ওইদিন সন্ধ্যায় ইটভাটার পশ্চিম পাশে মাস্টার বাড়ির উত্তর দিকের খালের পাড়ে মীমের মরদেহ ফেলে দেন।
পরদিন সকালে নিজেই মরদেহ দেখে ভয় পেয়ে তার মোবাইলের সিমটি ইটভাটার দক্ষিণ পাশের ঝোপে ফেলে দেন।
আটকের পরে স্বেচ্ছায় হত্যার কথা স্বীকার করলে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
এর আগে গত ০৭ ডিসেম্বর সকালে পার্শ্ববর্তী গ্রামের থানগাঁও ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শিশু মীমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে শিশুটির বাবা কোরবান আলী চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
ওএইচ/