নিহত মঞ্জির ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন। যারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তারা মঞ্জিরে বাসায় আসা-যাওয়া করতেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার আফতাব নগরের বি ব্লকের ৩ নম্বর রোডের আটতলা ভবনের ছয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মঞ্জির হকের (২৮) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মনজিল হকের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। ঢাকায় তিনি ব্যবসায় করতেন। আফতাবনগরের বি ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ওই ভবনের ফ্লাটটি তার নিজের ছিল। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে এই ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, এই ফ্ল্যাটে মাঝে মাঝে কয়েকজন যুবক আসতেন। সোমবার সকালে তার বাসায় চারজন যুবক প্রবেশ করেছিল। তারা দুপুরের আগেই বেরিয়ে যায়। সেসময় এক নারীও মঞ্জিরের ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান।
পরে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এসময় ওই এলাকা থেকে নিশি নামের এক নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বাড্ডা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) আশরাফুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি প্রণয়ঘটিত কারণে মঞ্জিরকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এসজেএ/এএ