অথচ অবসর সময় কাটানো, শীতলক্ষ্যা নদী তীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং নির্মল পরিবেশে মানুষের পায়ে হাঁটার সুবিধার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিলো এই ওয়াকওয়ে। কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং উদাসীনতায় যা এখন পরিণত হয়েছে খোলা ডাস্টবিন।
স্থানীয়রা জানান, হাঁটার জন্য এ ওয়াকওয়ে তৈরি হলেও এখন তা নর্দমার ন্যায়। আমরা আগে সকালে বিকালে এখানে হাঁটতাম, সময় কাটাতাম কিন্ত এখন আর তা পারছি না। ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধে সেখানে টেকাই দায়। সিটি করপোরেশন কিংবা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ ময়লা বা আবর্জনা সরানোর কোন উদ্যোগ নেয় না।
স্থানীয় বাসিন্দা মোর্শেদ আলী জানান, এখানে ওয়াকওয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য করা হলেও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করায় তা আরো বাজে পরিবেশের জন্ম দিয়েছে।
এ পথেই বন্দরবাসী শীতলক্ষ্যা নদী পাড়ি দিয়ে শহরে আসেন। তাদের প্রায় সকলেই নাক মুখ চেপে পার হন নদী।
বন্দর থেকে নদী পার হওয়া আব্দুল আলী জানান, আমরা প্রথম দিকে এ ওয়াকওয়ে হওয়াতে খুশি ছিলাম। বিকেলে বন্দর থেকে মানুষ নদী পার হয়ে এখানে হাঁটতেও আসতো, কাটাতো অবসর সময়। কিন্তু এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে এখানে আর দাঁড়ানো যায়না। দ্রুত এসব পরিবেশ নষ্টকারী ময়লা অপসারণের দাবি জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) এহতেশামুল হক জানান, আমরা এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেব। যারা ময়লা ফেলছে তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিএ'র যুগ্ম পরিচালক গোলজার আলী জানান, আমরা সিটি কপোরেশনের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন তাদের এতদিন ময়লা ফেলার ডাম্পিং ছিলো না, এখন ডাম্পিং পেয়েছেন দ্রুতই তারা ময়লা আবর্জনা অপসারণে কাজ শুরু করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
আরআই