মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা চিড়িয়াখানায় তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন,‘ চিকিৎসকদের মতে, একটি সিংহ সাধারণত ১৪ বছর বাঁচে । আর যুবরাজের বর্তমান বয়স ১৮ বছর।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.আবদুল মান্নান জানান,যুবরাজের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.নাজমুল হককে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সিংহের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করবেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা চিড়িয়াখানা গত ৫/৬ বছর ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বেশিরভাগ প্রাণীর খাঁচাই বর্তমানে শূন্য। বর্তমানে কয়েকটি বানর, মোরগ আর তিনটি হরিণ ছাড়া আর কিছুই নেই চিড়িয়াখানাটিতে। এতদিন যুবরাজ সিংহই ছিল মূল আকর্ষণ। তবে গত ৩ বছর ধরে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অনাদরে সিংহ যুবরাজ ভোগান্তিময় জীবনযাপন করছিলো।
অভিযোগ রয়েছে, যে পরিমাণ খাবার সরবরাহের কথা সে পরিমাণ খাবার যুবরাজকে দেওয়া হতো না। ফলে অনাহারে, রোগে যুবরাজ মৃত্যু পথযাত্রী হয়।
গত নভেম্বর মাসে বাংলানিউজে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পরে যুবরাজকে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে আড়াল করার জন্য তাঁর খাঁচার চারপাশে পর্দা টানিয়ে দেওয়া হয়। লোকচক্ষুর আড়াল থেকেই যুবরাজ অবশেষে চলে গেলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
আরআই