মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে পদ্মা নদীর কোলঘেঁষা ওই গ্রামের পাশের মুগ ক্ষেত থেকে ধরা পড়ে বিষধর সাপটি।
ওই গ্রামের বাসিন্দা রাধা মন্ডল জানান, সকালে তিনি বাড়ির পিছনে মুগ ক্ষেতে সাপটি দেখতে পেয়ে পার্শ্ববর্তী কামার ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা খসরু মোল্লার ছেলে বেনজীর আহমেদকে জানান।
ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সাপটিকে একটি প্লাস্টিকের ড্রামে আটকে রাখা হয়েছে। সাপটিকে যাতে কোনো মানুষের ক্ষতি করতে না পারে তাই সাপটিকে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান বেনজীর।
চরভদ্রাসনের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র নোমান আল মুক্তাদীরের কাছে সাপের একটি ছবি পাঠানো হলে তিনি নিশ্চিত করেন যে এটি রাসেল ভাইপার সাপ।
সাধারণত বরেন্দ্র অঞ্চলে এ সাপের বিস্তৃতি দেখা যায়। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধরনের সাপের বিস্তার দিন দিন বাড়ছে। এই সাপ বন্যার পানিতে ভেসে এসে চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বংশবিস্তার করে থাকতে পারে বলেও জানান মুক্তাদীর।
সাপটিকে সংরক্ষণ বা অবমুক্তির বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তাদের এ ধরনের বন্য প্রাণী সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা ও জনবল নেই। যেহেতু সাপটি জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে জনবসতি যেখানে কম সেখানে অবমুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এমজেএফ