মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে জামগড়া এলাকার রুপায়ন পূর্বপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাইম ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার চরসিরামপুর গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে।
নিহত শিশু মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার আমতলী গ্রামের ইমরান মল্লিকের মেয়ে ইমু। তারাও ফিরোজের বাসার ভাড়াটিয়া।
নিহত পরিবারের সদস্যরা বাংলানিউজকে বলেন, ইমুর বাবা রিকশা চালক ও মা একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ইমুকে তার দাদি আসিয়া বেগমের কাছে রেখে তারা কাজে বেড়িয়ে যান। বিকেলে বাড়ির পাশে ইমু ও সাইমের মেয়ে তানজিনা একসঙ্গে খেলছিল। এসময় হঠাৎ ইমু অজ্ঞান হয়ে গেছে বলে তার দাদিকে জানায় তানজিনা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু কেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক ইমুকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু শিশুটির মরদেহে ধর্ষণের আলামত দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, সোমবার রাতে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে প্রাথমিক তদন্তে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পেয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় সাইমের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইমরান মল্লিক বাদী হয়ে সাইমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাইমকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
টিএ