ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিউইয়র্ক হামলা: স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
নিউইয়র্ক হামলা: স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ আকায়েদ উল্লাহ (সংগৃহীত ছবি)

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ারের পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে বোমা হামলার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি আকায়েদ উল্লাহর (২৭) স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের তিনজনকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

আকায়েদ উল্লার স্ত্রী ছয় মাসের ছেলে ও তার বাবা-মাসসহ রাজধানীর হাজারীবাগ থানার জিগাতলা এলাকায় থাকেন।

বাড়ি মনেশ্বর রোডের ১০/১ রহিমা মঞ্জিলের নিচতলা।

স্ত্রীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই। শ্বশুর ও শাশুড়ি জুলফিকার হায়দার ও মাহফুজা আক্তার।

তাদের বাড়ির দারোয়ান মোফাজ্জল বাংলানিউজকে জানান, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আকায়েদ চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রে। চলতি বছরের জুন মাসের ১০ তারিখে সন্তান হয়। খবর পেয়ে সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ বাংলাদেশে আসেন তিনি। ফিরে যান অক্টোবরের ২২ তারিখ।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তিনজনকে ধরা হয়েছে। তাদের বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসবে পরিচত কেউ আছে কিনা যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ম্যানহাটনে টাইম স্কয়ার সাবওয়ে স্টেশন থেকে বাস স্টেশনে যাতায়াতের ভূগর্ভস্থ পথে বোমা হামলা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আকায়েদকে ধরা হয়েছে। বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর এবং তিনজন পথচারী সামান্য আহত হয়েছেন।

এদিকে, এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে।
 
রহিমা মঞ্জিলের মালিক রহিমা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পরিবারটি আমাদের অনেক পুরোনো ভাড়াটিয়া। যখন (১৯৯৭ সাল) এই বাড়িটি টিনশেডের ছিল তখন থেকে তারা এখানে ভাড়া থাকতেন। জুঁইয়ের বাবা জ‍ুলফিকার হায়দার একটি জুয়েলারি দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। ছোট ভাই জয় মাহমুদ একটি ইলেকট্রনিক্স দোকানে চাকরি করেন। তবে এতো বছরেও তাদের মধ্যে খারাপ কোনো কিছু দেখিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আকায়েদের বাবা মো. সানাউল্লাহ ডিবি লটারি পেয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেসময় তার পরিবারের সবাই রাজধানীর হাজারীবাগে বসবাস করতেন। তখন আকায়েদ উল্লাহর ছোট বোন হেলেন ও জুঁই ছিলের বান্ধবি। তারা একই সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজে পড়াশোনা করেছেন। পরে ২০১১ সালে আকায়েদ সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বাবার কাছে চলে যান। ২০১৩ সালের দিকে আকায়েদ বাংরাদেশে এসে বেশ কিছুদিন থেকে চলে যান। হেলেনের বান্ধুবি জুঁইয়ের সঙ্গে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ছেলে সন্তান হওয়ায় খবর শুনে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে এসে ৩৪ দিনে থেকে আবার ফিরে যান।

বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে উগ্রপন্থায় জড়ায় আকায়েদ

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭/আপডেট ২২১০ ঘণ্টা
এসজেএ/আইএ​

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।