এখানে বাংলাদেশি পুলিশের সহযোগিতায় মানবপাচারের গোড়া খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে তারা।
যদিও মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুসতাফা আলী তাদের কাজের প্রক্রিয়া সর্ম্পকে এখনই কিছু খোলাসা করেননি।
মুসতাফা আলী বলেন, বাংলাদেশি পাচারকারীদের সঙ্গে সর্ম্পক থাকায় ওই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। তবে সব কিছুই এখনই বলতে পারছি না। এসবের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।
মুসতাফা আলী বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখবো কতদিন ধরে তারা এই অবৈধ কাজে জড়িত ছিলেন। তদন্তে প্রমাণ পেলে তাদের চাকরিচ্যুতি ঘটবে।
তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগের অনেকেই অনিয়মে জড়িত। এখানে কিছু খারাপ ব্যক্তি রয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা বেশি নয়।
এছাড়া মালয়েশিয়ান পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল তান শ্রী মোহাম্মদ ফুজি হারুনের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন মুস্তাফা।
গত ১০ ডিসেম্বরই (রোববার) টাস্কফোর্স ঢাকায় এসে পৌছে।
মুসতাফা বলেন, মানবপাচারের বাংলাদেশি গডফাদার নিশ্চয়ই এতোদিনে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। আমরা আমাদের দেশের গডফাদারকেও ধরার চেষ্টা করছি। আমাদের কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে আরো কড়াকড়ি করতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ইমিগ্রেশনে চাপ আরো বাড়বে। কারণ অনলাইনে গৃহকর্মীর জন্যে ভিসা খুলে দেয়া হবে।
এর আগে হারিয়ান মেট্রোর একটি রিপোর্টে বলা হয়, ৪টি বড় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার হচ্ছে। যার সঙ্গে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জড়িত।
ধারণা করা হচ্ছে, এই সিন্ডিকেট প্রতি বছর ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা আয় করছে। মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
জেডএম/