মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার জামালপুর এলাকায় এফ এস কসমেটিকস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় এ বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর দগ্ধ শেফালী কালিয়াকৈর উপজেলার পলাশতলী এলাকার আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।
প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা বাংলানিউজকে জানান, কারখানাটিতে বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকস তৈরি করা হয়। বিকেলে সেখানে ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। সাড়ে ৪টার দিকে কারখানায় বিকট শব্দে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে কারখানার ভেতরে আগুন ধরে যায়। এসময় দৌড়ে কয়েকজন বের হলেও অনেক শ্রমিক আটকা পড়ে দগ্ধ হন।
তাৎক্ষণিক ১০ জনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর শেফালীসহ পাঁচজনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার করিরুল আলম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। আর ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বার্ন ইউনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, দগ্ধ সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢামেকে ভর্তি পাঁচজনের মধ্যে শেফালী ছাড়া বাকি চারজন হলেন- ইসমত আরা (২৮), নাজমিন (২০) আব্দুর রহিম (৩০), ইমরান (২৮)।
চিকিৎসকরা জানান, বিস্ফোরণে শেফালীর শরীরের পুড়েছে ৭৫ শতাংশ, ইসমত আরার ৫০ শতাংশ, নাজমীনের ৫৫ শতাংশ, আব্দুর রহিমের ৬০ এবং ইমরানের শরীরের পুড়েছে ৩০ শতাংশ।
পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি
এদিকে, এ ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে রয়েছেন আরও চার সদস্য।
এ কমিটি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে এ এলাকায় প্রসাধনী কারখানার কোনো অনুমোদন আছে কি-না, তাও তদন্ত করে দেখবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭/আপডেট ০১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩
আরএস/জেডএস/এজেডএস/এসএ/এইচএ/