ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য পরিবেশনার একটি মুহূর্ত। ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আর্মি স্টেডিয়ামে এ বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া মনোমুগ্ধকর এই অনুষ্ঠানে ছিল দেশাত্মবোধক গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশন ও আতশবাজিসহ নানা রঙিন আয়োজন।

পুরো আয়োজনে ৭ মার্চের  ভাষণের প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের ভিডিও বিশাল ডিজিটাল পর্দায় দেখানো হয়। এরপরই শুরু হয় বক্তব্য পর্ব।  

অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য পরিবেশনার একটি মুহূর্ত।  ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদলঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। আরও বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মাদ শফিউল হক।

তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ইউনেস্কোর তরফ থেকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি জাতির জন্য গর্বের। এই ভাষণ তখনকার সাত কোটি বাঙালিকে যেমন আকৃষ্ট করেছিলো, এখনও তেমনি আকৃষ্ট করে।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে কতো বড় মাপের নেতা ছিলেন, তাকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। তার সঙ্গে কারো তুলনা হয় না। এমন কি বিরোধী দলের লোকজনও বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন না।

আতশবাজি ফোটানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।  ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদলঅনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

এতে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, সাব্বির। দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন শামীম আরা নীপা, শিবলী মোহাম্মাদ ও তাদের দল।  

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করেন জনপ্রিয় আবৃত্তিকার শিমুল মোস্তফা।  

উপস্থিত সেনাসদস্য ও সাধারণ জনতা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ লাইট ও সাউন্ড শো’র মাধ্যমে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের আবহ তৈরি করা হয়। সে সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো হয়। সবশেষে বর্ণিল আতশবাজি ফোটানোর মধ্য দিয়ে উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এমসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।