মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মেরুল বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় একটি পাঁচতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় নিজের বাসায় গুলিবিদ্ধ হলে উজ্জ্বলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
উজ্জ্বলের বাবার নাম আব্দুল আওয়াল।
আওয়াল জানান, তার দুই ছেলের মধ্যে বড় উজ্জ্বল ইট-বালু সরবরাহের ব্যবসা করতেন এলাকায়। উজ্জ্বলের স্ত্রীর নাম রাহেলা। তাদের জানা মতে, ঘরে-বাইরে কারও সঙ্গে বিরোধ বা শত্রুতা ছিল না। এখন কী কারণে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে তা বুঝতে পারছেন না তিনি।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উজ্জ্বলকে ঢামেকে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী সুমন ব্যাপারী। তিনি বাংলানিউজকে জানান, গুলির শব্দ পেয়ে উজ্জ্বলদের বাসায় ছুটে গিয়ে দেখি, তার স্ত্রী রাহেলার কোলে মাথা দিয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন উজ্জ্বল। আশ-পাশে তখন জমাট বাঁধা রক্ত। তাৎক্ষণিক তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে নিয়ে আসি।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে উজ্জ্বল আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার সময় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি খোঁজা হচ্ছে। স্ত্রী রাহেলার সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের পর প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে কী কারণে উজ্জ্বলের মৃত্যু হয়েছে।
সুমন ব্যাপারীও বলেন, তারা ধারণা করছেন— পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করতে উজ্জ্বল নিজেই নিজেকে গুলি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এজেডএস/এইচএ/