বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেফালীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার জামালপুর এলাকায় এফ এস কসমেটিকস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় বিস্ফোরণ দগ্ধ হন শেফালী।
প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা বাংলানিউজকে জানান, কারখানাটিতে বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকস তৈরি করা হয়। বিকেলে সেখানে ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। সাড়ে ৪টার দিকে কারখানায় বিকট শব্দে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে কারখানার ভেতরে আগুন ধরে যায়। এসময় দৌড়ে কয়েকজন বের হলেও অনেক শ্রমিক আটকা পড়ে দগ্ধ হন।
তাৎক্ষণিক ১০ জনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর শেফালীসহ পাঁচজনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার করিরুল আলম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। আর ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বার্ন ইউনিটে দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, দগ্ধ সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢামেকে ভর্তি পাঁচজনের মধ্যে শেফালী ছাড়া বাকি চারজন হলেন- ইসমত আরা (২৮), নাজমিন (২০) আব্দুর রহিম (৩০), ইমরান (২৮)।
চিকিৎসকরা জানান, বিস্ফোরণে ইসমত আরার ৫০ শতাংশ, নাজমীনের ৫৫ শতাংশ, আব্দুর রহিমের ৬০ এবং ইমরানের শরীরের পুড়েছে ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এজেডএস/এইচএ/