মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ওই ইউনিয়নের বেগপাড়া এলাকার এনামুল হকের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডে ২২টি বসতঘর, ১৮টি রান্না ঘর, ৮টি গোয়াল ঘর, ৩টি খড়ের গাদা, ৩টি ধানের গাদা, নগদ দেড় লাখ টাকা পুড়ে গেছে।
গোড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য ইয়াসিন আলী লিখন বাংলানিউজকে জানান, আগুনে সর্বস্ব হারিয়েছে পরিবারগুলো। কোনো কিছু রক্ষা পায়নি আগুনের লেলিহান শিখা থেকে। কনকনে এ শীতের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষগুলোর দিনাতিপাত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূইয়া।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূইয়া জানান, তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা পরিষদ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কম্বল, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে থাকার জন্য তাবু এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছে নুর উদ্দিন, রাহিদুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, অলিয়ার রহমান, আবু বকর, অফিসার ইসলাম, এনামুল হক, শাহিনুর ইসলাম, আনিসুর রহমান, তহুজা বেগম, ওবায়দুল ইসলাম, বেগম বেওয়া, ফারুক হোসেন, ফজলুল হক ফজলু, রফিকুল ইসলাম, বুদারু মামুদ, মমিনুর রহমান, আহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম ও আলেয়া বেগম।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নীলফামারী স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ