তিনি বলেন, “আকায়েদ নিউইয়র্কেই জঙ্গিবাদে ‘হোম গ্রোন’ হয়েছে। সে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে বলে আমরা ধারণা করছি।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোড়ে মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। কারণ, আমেরিকায় অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী আছেন, যারা সেখানে নানা ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরি করছেন, তাদের ওপর যাতে এ ঘটনার কোনো প্রভাব না পড়ে সেজন্য আমরা তদন্ত করছি। ”
“এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে। যদি তারা আমাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করে সহায়তা চায় তবে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো”, যোগ করেন মনিরুল ইসলাম।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা জেনেছি আকায়েদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। সেখান থেকে তারা ঢাকায় এসে বসতি স্থাপন করে। আকায়েদের বাবা সানাউল্লাহ অনেক আগেই তার মামার সঙ্গে আমেরিকায় যান। সেখানে গিয়ে তিনি ব্যবসা করেন। সে সময় আকায়েদ ঢাকার সিটি কলেজে বিবিএ পড়তো। পরে ২০১১ সালে সানাউল্লাহ তার পুরো পরিবারকে আমেরিকায় নিয়ে যান। ”
আকায়েদ কীভাবে রেডিক্যালাইজড হয়েছিল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি’র প্রধান বলেন, “সে বিকারগ্রস্থ ছিলো কি না বা কারও দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে কি না সেটি ওই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
আমরা তার স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিলাম, তারা আমদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তের প্রয়োজনে আবারও তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ”
জিজ্ঞাসাবাদে আকায়েদের স্ত্রী জুঁই জানিয়েছেন, বিয়ের পর আকায়েদ তার স্ত্রীকে জঙ্গি নেতা জসিমউদ্দিন রহমানীর বিভিন্ন লিটারেচার পড়তে বলতো। কিন্তু তার স্ত্রী সেটা পড়েননি বলে জানিয়েছেন।
আকায়েদ গত বছর দেশের এসে বিয়ে করেন। এ বছরও তিনি দেশে এসেছিলেন। স্ত্রী জুঁই ও তার সন্তানের টানেই আকায়েদ দেশে এসছিলো বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
কাজী নাফিস নামে একজন বাংলাদেশি আমেরিকায় জঙ্গি সশ্লিষ্টতায় আটক হয়েছিল সেই তথ্য টেনে সিটিটিসি’র প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, “কাজী নাফিসের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তথ্য ছিল, সে যেসব মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতো তারা হিজবুত তাহরীর ও আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ”
তবে আকায়েদের সম্পর্কে বাংলাদেশে এমন কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এসজেএ/এমজেএফ