মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিএসএফ-৪ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ডিএমসি সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যদের কাছে আবুর মরদে হস্তান্তর করে। আবু রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চরভুবনপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গোদাগাড়ী ডিএমসি সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
জানতে চাইলে বিজিবির নায়েক সুবেদার ফরিদ আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে সীমান্তে মরদেহ বুঝে পাওয়ার পর রাতেই তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সকালে মরদেহটি দাফন করা হয়।
ভারতের অভ্যন্তরে নিহত আবুর মরদেহের ময়নাতদন্ত ও তাদের আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। এতে দেরি হওয়ায় মরদেহটি ফেরত পেতেও দেরি হয়েছে বলে জানান বিজিবির এই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, নিহত আবুর মরদেহ পাওয়ার পর বুধবার সকালে তার পরিবার দাফন করেছে।
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আবুর মরদেহ ফেরতের প্রশ্নে গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানার কোদালকাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে মঙ্গলবার গভীর রাতে বিএসএফ মরদেহ ফেরত দেয়।
এর আগে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে আবু ও তার চাচাতো ভাই এছারুল ইসলাম ওরফে মিছুসহ আরও কয়েকজন গরুর রাখাল ডিএমসি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বরমতপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের গুলি করে।
গুলিতে কাঁটাতারের বেড়ার কাছেই মারা যান আবু। তবে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিছু বাংলাদেশের ভেতরে পালিয়ে আসেন। পরে তার মৃত্যু হয়। এরপর নিহত মিছুর মরদেহ তার সহযোগীরা বাড়িতে নিয়ে আসেন। তবে আবুর মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এসএস/এএ