প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গত ১০ ডিসেম্বর এএম এন্টারপ্রাইজ (আরএল-২৫৬) এবং মেসার্স আমির এভিয়েশন (আরএল-৮৪০) এর লাইসেন্স বাতিল করে। এ সংক্রান্ত চিঠি তথ্য অধিদফতরে এসেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জনৈক জন্টু খান এবং সালাম সর্দার দুই এজেন্সির কাছে পাঁচ লাখ ৮৩ হাজার টাকা দিয়ে কাতারে গিয়ে কোনো কাজ না পেয়ে দেশে ফেরত আসেন। জন্টু খান এক দিন ও সালাম ২৮ দিন পর দেশে ফেরত এসে দুই এজেন্সির কাছে গেলে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়।
জন্টু খান ও সালাম বিএমইটিতে অভিযোগ করার পর দুই এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগকারীর টাকা পরিশোধ ও নোটিশের জবাব দেয়নি এজেন্সি দু’টি।
নোটিশের কোনো জবাব না দেওয়ায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় চিঠিতে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ এজেন্সি দু’টির কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। যা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ এর ১২ ও ১৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অভিযোগ দু’টি একতরফাভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্তসহ লাইসেন্স বাতিল করে এএম এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স আমির এভিয়েশনের লাইসেন্স বাতিল করা হলো।
একই সঙ্গে জন্টু খানের তিন লাখ টাকা এবং সালাম সর্দারের দুই লাখ ৮৩ হাজার টাকা পরিশোধ করে মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ