১৪ ডিসেম্বর ভোর পর্যন্ত জেমেনিড বা মিথুন তারকামণ্ডলীর এ বার্ষিক উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। তবে রাত দেড়টা নাগাদ সবচেয়ে বেশি উল্কা দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্কাবৃষ্টি দেখতে কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ বেছে নিন। এক্ষেত্রে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলই হবে আদর্শ। গোটা আকাশেই উল্কাপাত দেখা যাবে। তবে মনে হতে পারে উল্কাগুলো আকাশের মিথুন তারকামণ্ডলীর দিক থেকে ধেয়ে আসছে।
আকাশে অর্ধচাঁদ থাকায় ছোট ছোট উল্কাগুলো দেখা নাও যেতে পারে। তবে বড় বড় উল্কাগুলো চোখে পড়বে সহজেই। কুয়াশা বেশি থাকলে উল্কা দেখা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে।
১৯৮৩ সালে আবিষ্কৃত ধূমকেতু ‘৩২০০ ফিথনে’র ধ্বংসাবশেষ থেকে এ উল্কাবৃষ্টি সৃষ্টি হয়। সূর্যকে প্রদক্ষিণের সময় প্রতিবছর ৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ফিথনের ফেলে যাওয়া পাথর ও ধুলার মিশ্রণ পৃথিবীর আবহাওয়া মণ্ডলীতে ঢুকে পড়ে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংঘর্ষে এসব পাথরে আগুন জ্বলে ওঠে।
বার্ষিক অন্যান্য উল্কাবৃষ্টির তুলনায় জেমিনিড উল্কাবৃষ্টি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বলে এটিই বছরের সেরা উল্কাবৃষ্টি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এনএইচটি/এসআই