মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও অগ্রজ নারী সংস্কৃতিকর্মীরা।
উদ্বোধনের আগে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতীয় সঙ্গীতসহ মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করা হয়।
‘৭ই মার্চ মুক্তি ও স্বাধীনতার ডাক বাংলার ঘরে ঘরে/৭ই মার্চ সম্পদ আজ বিশ্ব মানবের তরে’-প্রতিপাদ্য নিয়ে গৌরব ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ৭ দিনব্যাপী এ ‘বিজয় উৎসব ২০১৭’ শেষ হবে ১৯ ডিসেম্বর।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও উৎসবে স্মরণ করা হবে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের। ৭টি মঞ্চে হবে প্রতিদিনের অনুষ্ঠান। শহীদ ও প্রয়াত বিশিষ্টজনদের স্মরণে মঞ্চগুলোর নামকরণ করা হয়েছে।
মঞ্চগুলো হচ্ছে- ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে নায়করাজ রাজ্জাক ও আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফ মঞ্চ, দনিয়ায় আবদুল জব্বার ও বারী সিদ্দিকী মঞ্চ, উত্তরায় রবীন্দ্র স্মরণীতে আনিসুল হক মঞ্চ, মিরপুর ৬ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক মামা ও অপু আনাম চলচ্চিত্র মঞ্চ, রায়েরবাজার শহীদ বুদ্বিজীবী মঞ্চ ও বাহাদুর শাহ পার্ক মঞ্চ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ এসব মঞ্চে ১৪ ডিসেম্বর থেকে একযোগে উৎসবের অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে। উৎসবে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গান, পথনাটক, চলচ্চিত্র, আবৃত্তি, কবিতাপাঠ ও বিজয় র্যালি।
১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। অন্য সাতটি মঞ্চে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নাটক, চলচ্চিত্র ও সঙ্গীতের আয়োজন থাকবে। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শহীদ মিনার থেকে জোটের উদ্যোগে বিজয় র্যালি বের হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অনিক বসুর পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠীর শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘন্টা; ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এইচএমএস/এসআই