বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে বিয়ের আয়োজন থেকে পালিয়ে সে উপজেলা পরিষদে ওঠে। নাহিদুল উপজেলার দক্ষিণ মটকপুর কাজিপাড়া গ্রামের রহমানের ছেলে এবং মটকপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।
নাহিদুল বাংলানিউজকে জানায়, তার অভিভাবকরা তাকে না জানিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে গোপনে বিয়ে ঠিক করে। বুধবার রাতে বরযাত্রী যাওয়ার জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। সে তার পরিবারকে এ বিয়ে বন্ধ করতে বললেও তারা কোনো কথাই শুনেনি। পরে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসে যায়। এসময় ইউএনও অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকায় সে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানায়। সাংবাদিকরা ইউএনওকে মোবাইল ফোনে জানালে ইউএনও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদকে বিয়েটি বন্ধের নির্দেশ দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে জানান, ওই স্কুলছাত্রের বাবাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে এনে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা বাংলানিউজকে জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা বাল্যবিয়ে নিয়ে অনেক সচেতন। এমন সচেতনতা সৃষ্টি হলে এলাকায় বাল্যবিয়ে রোধ করতে বড় ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
টিএ