বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া মামলাটি অধিক গুরুত্ব ও তদন্তের স্বার্থে গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সদর উপজেলায় প্রশ্ন ফাঁসের কারণে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর সকল পরীক্ষা স্থগিত করে ১৭ ডিসেম্বর নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। পরে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় ৯ জন এবং বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র মো. কাজিম (২২), রফিকুল ইসলাম (২০), রতন মিয়া (২৪), আব্দুর রহিম (২১), মো.কামরুল হাসান (২৫), মোস্তাফিজুর রহমান (২২), রিয়াজ মিয়া (২০), সাখাওয়াত হোসেন (২৫) ও জাকির হোসেন (২৫)।
এছাড়া গ্রেফতার আরও ৫ জন হলেন- বছিরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ফারিয়া সুলতানা সোনিয়া (২৯), হরগঙ্গা কলেজের মাস্টার্স বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু (২৬), কাকলি (২৮), হরগঙ্গা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন (৩০) এবং আরিফের স্ত্রী সম্পা আক্তার (২২)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে গ্রেফতার ৯ জনকে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আমলী আদালত-১ এর বিচারক হায়দার আলী তাদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া গ্রেফতার ৫ জনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, মামলাটি অধিক গুরুত্ব বহন করায় এবং মামলার বৃহত্তর তদন্তের স্বার্থে গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জড়িতদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
টিএ