বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ফরিদপুর পৌরসভা এলাকায় গত কয়েক বছরে প্রায় পৌনে দুইশো বহুতল ভবন নির্মাণ হয়েছে। এসব ভবনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদনের তোয়াক্কা করা হয়নি।
হাতেগোনা কয়েকটি ভবন ছাড়া বেশিরভাগ ভবনে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। ভবন নির্মাণে মানা হয়নি বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)। বিল্ডিং কোড অনুযায়ী প্রতিটি বহুতল ভবনে মালিকের নিজ অর্থায়নে ও ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
মমতাজ উদ্দিন আরও বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে একই সাথে মানুষের আপদে বিপদে কাজ করে যেতে চাই। কিন্তু সরকারি বিধি-বিধান না মেনে এ ধরনের ভবন নির্মাণ আগামীতে ক্ষতির কারণ হবে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক বলেন, বহুতল ভবনে একাধিক সিঁড়ি থাকার কথা কিন্তু সেগুলো রাখা হচ্ছে না। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, হোজ রিল, স্মোক ডিটেক্টর ও হিট ডিটেক্টর থাকার কথা থাকলেও কোটি টাকার ভবন করলেও নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সেগুলো কেউ করতে রাজি নন।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের যে সক্ষমতা রয়েছে এতে করে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৭ তলা ভবন পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ করা সম্ভব। কিন্তু শুধু শহরের মধ্যেই শতাধিক ১০তলা ভবন রয়েছে বলে জানান মমতাজউদ্দিন।
তিনি বলেন, এসব ভবনে যদি কোনো কারণে আগুন লাগে তবে তাদের কী অবস্থা হবে? বিপদ না এলে যেন কারো হুশ ফিরছে না! আমরা জেলার উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় বিষয়গুলো তুলেছি যাতে করে এ বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়। অনেক ভবন মালিকের বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়ে বলে এসেছি। এভাবে কাজ না হলে আগামীতে জেলা প্রশাসনের সহয়তা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
আরও পড়ুন:
ঝুঁকিতে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এমজেএফ