বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মোল্যা নজরুল জানান, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জামালপুর থেকে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, বাহাদুরের সঙ্গে সাইফুল ইসলামের পরিচয় ছিল। সাইফুলের সঙ্গে পরিচয় ছিল রকিবুল হাসান নামের আরেকজনের। মূলত এই তিনজন প্রশ্ন বিভিন্ন জায়গায় ছড়াতেন। এই তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ডিভাইস সাপ্লাই পদ্ধতিতে ঢাবিতে ভর্তি হওয়া সাত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিমের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর জিগাতলা থেকে ডিভাইস সাপ্লাই ও প্রশ্ন ফাঁস করা গ্রুপের অন্যতম নাজমুল হাসান নাঈমকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়।
পরে ৯ ডিসেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল এলাকা থেকে বনি ইসরাইল (২৩) ও বিনোদপুর এলাকা থেকে মো. মারুফকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। বনি ও মারুফ দু’জনই ছাত্র সংগ্রহ ও তাদের তথ্য সংগ্রহ করত রকিবুল হাসানকে।
তিনি বলেন, রকিবুল নাটোর ও পাবনা জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তা। রাজশাহী থেকে গত ১১ ডিসেম্বর রবিকুলকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। পরেরদিন রকিবুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। রকিবুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৩ ডিসেম্বর জামালপুর থেকে সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ থেকে ৭ লাখ টাকার লেনদেন হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন কারাগারে, তিনজন রিমান্ডে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
পিএম/আরআর