এতে ১৭টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাশাপাশি আংশিক কক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো বেশ কয়েকটি ঘর।
বৃহষ্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
খবর পেয়ে বরিশাল, ঝালকাঠি ও নলছিটি ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আড়াইঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি ফায়ার স্টেশনের লিডার (ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার) আকতার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় ১৭ বসতঘর পুড়ে গেলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
এদিকে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে লাগা এ আগুনে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, নিমাই চন্দ্র মালির বসতঘরের বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আর এ অগ্নিকাণ্ডের পর গৃহহীন হয়ে পড়েছে শতাধিক মানুষ।
বরিশাল বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায়। পরে তাদের সহায়তায় ঝালকাঠি ও বরিশাল সদর স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান, নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল ইসলাম, পৌর মেয়র মো. তছলিম উদ্দিন চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এমএস/জেডএম