শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে সাতরাস্তাসহ আশপাশের এলাকায় গিয়ে দেখা যায় আবার পুরনো রূপে ফিরছে এ এলাকা। শুধু তাই নয়, সাত রাস্তা মগ বাজার ফ্লাইওভার দিয়ে মিনিটে ১৫ থেকে ২০ মালবাহী যান পেরুতে দেখা গেছে।
২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হন আনিসুল হক। সে বছরের নভেম্বরেই সিদ্ধান্ত নেন তেজগাওয়েঁর সাতরাস্তা থেকে ফার্মগেট রেলগেট পর্যন্ত অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করবেন। বিভিন্ন প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি সেখান থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড তুলে দিতেও সক্ষম হন। ১০ ডিসেম্বর ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় এক সমাবেশ করে তেজগাঁও এলাকাকে অবৈধ ট্রাক পার্কিংমুক্ত ঘোষণা করেন আনিসুল।
পরে রাস্তাটি সংস্কার করে সড়ক বিভাজকে তিনি সুন্দর সবুজ গাছ লাগান। ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই সপরিবারে যুক্তরাজ্যে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু ১৩ আগস্ট ‘সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে’ মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহে আক্রান্ত হলে তাকে লন্ডনের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মূলত আনিসুল হক অচেতন অবস্থায় রয়েছেন- এ খবর জানতে পেরে তখন থেকেই তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড ফের দখলের পাঁয়তারা চলছিল।
আর মৃত্যুর পর সেটিই বাস্তব রূপ নিতে যাচ্ছে। সাতরাস্তায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে এ বিষয়ে ভয়ে কেউ কথা বলছে না। ট্রাক রাখছেন কেনো এ প্রশ্ন করলেই দলবদ্ধভাবে আক্রমণ করতে আসেন ট্রাক শ্রমিকরা।
বিশেষ করে রাত দশটার পরে ট্রাকগুলো রাখা শুরু হয়। সকালে কিছুটা ফাঁকা হয়ে যায়। এখানে শুধু পার্কিংয়ের জন্যই রাখা হয়েছে ট্রাকগুলো। কোনো মাল খালাস হচ্ছে না বা উঠছে না। রাত ১টার দিকে শতাধিক ট্রাক দেখা গেছে এখানে পার্কিং অবস্থায়।
আনিসুল হক অসুস্থ হলে তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকার সড়কগুলো ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে ফের দখলের পাঁয়তারা বন্ধে ট্রাক মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ওসমান গণি।
ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানমুক্ত রাখার ব্যাপারে বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির নেতারা অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু মাস না পেরুতেই আনিসুল হকের চিরশূন্যতা টের পেতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগী ওই অঞ্চলের মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
কেজেড/এএ