শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের নলডাঙ্গা রেল গেট এলাকার অদূরে সরকারি খাদ্য গুদামের পাশের একটি আখক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন- সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২১), একই ইউনিয়নের কিশামত হামিদ গ্রামের মাহফুজ রহমানের ছেলে বাবু মিয়া (২২) ও পশ্চিম খামার দশলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২১)।
এ ঘটনায় আরও একজন অভিযুক্ত রুবেল মিয়া (২৪) ঘটনার পর পালিয়ে যান। তিনি নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম খামার দশলিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়ন বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে নির্যাতিত স্কুলছাত্রীটি তার মার সঙ্গে নলডাঙ্গা বাজারে কাপড় কেনার জন্য যায়। কেনাকাটা শেষে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে মেয়েটির মা পাশের গ্রামের তার বাবার বাড়িতে যান।
এরপর মেয়েটি কাপড় নিয়ে একা বাড়ি ফেরার পথে সরকারি খাদ্য গুদামের কাছে সোহাগ, বাবু, মাহফুজ ও রুবেল হঠাৎ তার পথরোধ করে। এসময় চারজন মিলে জোরপূর্বক মেয়েটির মুখে ওড়না চাপিয়ে পাশের আখক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে সোহাগ, বাবু ও মাহফুজ নামে তিনজনকে হাতেনাতে আটকের পর গণধোলাই দেয়। তবে অভিযুক্ত রুবেল নামে আরেক যুবক পালিয়ে যায়।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। নির্যাতিত মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
অভিযুক্ত রুবেলকে আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এএ