শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সাংগাঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, সহ-সভাপতি হারুনার রশিদ, কল্পনা রায়, অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট ইয়াহিয়া, অধ্যাপক জিএম হারুণ, ডা. হেমায়েতুল্লাহ আরিফ, প্রকৌশলী খাজা তারেক, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, পরিবেশবিদ মিজানুর রহমান, সেলিনা খাতুন, এম শরীফ, সামশুল ইসলাম বাদশা, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, সুভাষ চন্দ্র হেমব্রন, জাহিদ প্রমুখ।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে শীতকাল চলায় বিদ্যুতের ব্যবহার কম হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ ভৌতিক বিল তৈরি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিভাগে অভিযোগ করলে নতুন মিটার পাল্টানোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
একই সভায় রেলের টিকিটে কালোবাজারি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ, রাজশাহী থেকে আবদুলপুর ডুয়েল গেজ লাইন দ্রুত নির্মাণ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা মনিটরিং কার্যক্রম বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
টিকিট কালোবাজারি নিয়ে বক্তারা বলেন, রাজশাহী থেকে ঢাকামুখী তিনটি ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে। অনেকে ৮/১০ দিন আগে গিয়েও টিকিট পাচ্ছেন না। অথচ অতিরিক্ত টাকা দিলেই মিলছে টিকিট।
আয়োজিত সভা থেকে রাজশাহী নগরীর ভাঙা-চোরা রাস্তা-ঘাট মেরামত, ফুটপাত দখলমুক্ত, মশক নিধন কার্যক্রম শুরু ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এছাড়া বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা মনিটরিং কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানানো হয়।
চলতি মাসের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধান না করা হলে নতুন বছরের শুরু থেকেই রাজশাহীবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এসএস/এসআরএস