শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলের পাশে অবস্থিত সব থেকে বড় লেকের পাশে যেখানে সব থেকে বেশি পাখি বসে সেখানে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেন।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলের পাশের লেক সংলগ্ন জঙ্গলে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জঙ্গলে আগুন লাগার সময় পাখিদের খুবই আতঙ্কিত দেখাচ্ছিলো। তবে কে বা কারা এ আগুন জ্বালিয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্টের পেছনে লেক, নতুন রেজিস্টার ভবনের পেছনের লেক যেখানে সব থেকে বেশি পাখি বসে। দর্শনার্থীদের অতিরিক্ত চাপ, ঢিল ছোঁড়া , উচ্চ শব্দে ঢোল-ভেপু বাজানো, গাড়ির হর্ণ বাজানো ইত্যাদির কারণে এই লেকগুলো প্রথমে পাখি আসলেও এখন পাখি সুইমিং পুলের কাছে সব থেকে বড় লেকে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেখানে আগুন লাগায় নিরাপত্তাহীতনায় ভুগছে অতিথি পাখিরা।
পাখি চলে যাচ্ছে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেসবুকে।
সনজিৎ সরকার উজ্জ্বল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেন, পাখি চলে যায়, ফিরে আর আসে না। শুক্র ও শনিবার তো বিশ্ববিদ্যালয় থাকে না। একটি রিসোর্ট হয়ে উঠে। বহিরাগতদের গাড়ি মোটরসাইকেল চলাচলে নিজেদেরই বিরক্ত লাগে। পাখিদের তো লাগবেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, জঙ্গলে আগুন লাগলে পাখিরা আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র চলে যাবে এটাই
স্বাভাবিক। তাছাড়া জঙ্গলে আগুন লাগলে জীববৈচিত্র নষ্ট হয়, ছোট প্রাণীদের বাস্তুসংস্থান ধ্বংস হয়ে যায়।
ক্যাম্পাসের লেক সংলগ্ন জঙ্গলে যেন আগুন না লাগে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া জীব বৈচিত্র রক্ষায় প্রশাসনকে আরো আন্তরিকার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে এস্টেট অফিসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন ও বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
বিএস