এসব অভিযোগে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলা পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা পরিচালিত ওই অভিযানে দুই দালালকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারিভাবে সর্বনিম্ন ফি ৩ হাজার টাকা হলেও একব্যক্তিকে ১২ হাজার টাকায় পাসপোর্ট করিয়ে দেবার কথা বলে তাকে কার্যালয়ে আসতে বলেন কেবি এজেন্সির সুবল চন্দ্র ভৌমিক।
সেই টাকা গ্রহণ করতে গেলে পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত সুবলকে ২ মাসের দণ্ড দেন।
এ সময় পাসপোর্ট অফিসের সামনে নূর এন্টারপ্রাইজের সামনে মুহাম্মদ ইফতেখারুল নামে আরেক ব্যক্তিকে পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেন শাহরিয়ার (১৯)।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বাংলানিউজকে জানান, শাহরিয়ার ফেনী সরকারি কলেজের এক শিক্ষকের সিল জাল করে সেটি দিয়ে পাসপোর্টের ফরম সত্যায়িত করছিলেন। এছাড়া আরও অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দুইমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের বরাত দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, প্রতি পাসপোর্টের জন্য দালালদের ৫৪০০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। তবে সরকারিভাবে সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ৩ হাজার এবং জরুরিভাবে করতে ৬ হাজার টাকা ফি নেওয়া হয়।
সূত্র আরও জানায়, দালালরা পুলিশ ভেরিফিকেশনে প্রতি পাসপোর্টে ৭০০ টাকা (রেগুলার) ও ৮০০ টাকা (জরুরি) নেয়।
এছাড়া পাসপোর্ট অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিতে হয় ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। বাকি টাকা যায় দালালদের পকেটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসএইচডি/আরআইএস/এমএ