জানা যায়, রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের শেখ রাসেল সড়কের অর্নি-রাহি প্লাজা নামের একটি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি তারা। পরের দিন সোমবার লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন গৃহবধূর স্বামী।
গৃহবধূর স্বামী কাজী ফয়সল আহমেদ দত্তপাড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার্ড। তিনি ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত মাসুদুল হকের ছেলে। গৃহবধূ ফারজানা আক্তার রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর গ্রামের মৃত মাওলানা সালাহ উদ্দিনের মেয়ে।
২০০৫ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ২৪ তারিখ থেকে তারা ওই ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে ফারজানার স্বামী কাজী ফয়সল আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে বাংলানিউজের কথা হয়। ফয়সল তখন বলেন, তার স্ত্রী-সন্তানদের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে জ্বিনের বাদশা বা কোনো প্রতারকচক্রের হাত থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, ৫মাস আগে আমার স্ত্রীকে জিনের বাদশা বা এ জাতীয় একটি প্রতারকচক্র প্রলোভন বা ভয় দেখিয়ে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এরপর থেকেই ফারজানা আতংকে ছিল, চক্রটি হয়তো আমাকে ও আমাদের সন্তানদের মেরে ফেলবে। এভাবে সে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর থেকে সে আমাকে এবং সন্তানদেরকে বাসা থেকে বের হতে দিত না। এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রীর চিকিৎসা ও সন্তানদের পড়ালেখার কথা ভেবে আমি লক্ষ্মীপুরে বাসা ভাড়া করে থাকছিলাম। রোববার সকালে আমার অনুপস্থিতিতে ২ সন্তানকে নিয়ে বাসা আমার স্ত্রীকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা। এরপর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গৃহবধুর বড় ভাই হেলাল উদ্দিন মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, বোনের স্বামী ফয়সল আমার বোনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। তবে কি কারণে নিখোঁজ হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম জানান, প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে স্ত্রী ও ২ সন্তান নিখোঁজ রয়েছে মর্মে স্বামী কাজী ফয়সল আহমেদ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তাদের সন্ধান পেতে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
জেএম