পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মালিকানাধীন জমিতে এই স্মৃতিস্থান সংরক্ষণের কাজ নিয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবাদে আগামী ২ জানুয়ারি ওয়াপদা গেটের সামনে মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি নিয়ে গণসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত জেলা নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
বুধবার (ডিসেম্বর) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে সংবাদ সম্মেলেন করে সংসদের নেতারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ওই গণসমাবেশ থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বরিশাল মহানগর কমান্ডার মোকলেসুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী, রাজাকারদের নির্যাতন-নিপীড়নের স্মৃতি, হত্যাযজ্ঞ, নারী নির্যাতনের চিহ্ন ও বাংকার কেবল বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কম্পাউন্ডেই (তৎকালীন ওয়াপদা) দৃশ্যমান।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত সেই ওয়াপদা কলোনীতে পাকিস্তানী হানাদার বাহীনির সৈন্যদের টর্চারসেল ও চারটি বাঙ্কার সংরক্ষনের জন্য স্থানীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়। বর্তমান সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কম্পাউন্ডে থাকা দুটি টর্চারসেল ও চারটি বাঙ্কার সংরক্ষন, সীমানা প্রাচীর নির্মান, রাস্তা, সেড র্নিমান ও আলোকসজ্জার জন্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। স্থানীয় সরকারের এ বরাদ্দ বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাছে আসে। বরিশাল সিটি করপোরেশন ভৌত অবকাঠামো ও সৌন্দর্যবর্ধন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ওই কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে।
কিন্তু টর্চারসেল ও বাংকার স্মৃতি বাস্তবায়ন প্রকল্পের কাজ করতে গেলে টালবাহানা শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা) কর্তৃপক্ষ। নানা অজুহাত দেখিয়ে তারা কাজ শুরু করতে দিচ্ছে না। ২০১৮ সালের জুন মাসে মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার কথা থাকলেও মাসের পর মাস যাচ্ছে কিন্তু কাজ শুরু করতে না পারায় টাকা ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বরিশাল জেলা কমান্ডার শেখ কুতুব উদ্দিন, ডেপুটি কমান্ডার কেএস মহিউদ্দিন মানিক, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল, ডেপুটি কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদার, ডেপুটি কমান্ডার (সাংগঠনিক) এনায়েত হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এমএস/এএ