এতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন। শোভাযাত্রাটি সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মনিচত্বর ঘুরে পুনরায় আলুপট্টি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
রাজশাহী থিয়েটারের সভাপতি নিতাই কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৃত্যগুরু বজলুর রহমান বাদল, থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তাজুল ইসলাম, নাট্যজন প্রশান্ত সাহা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত সরকার, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলা সভাপতি কল্পনা রায়, শাহ মখদুম কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী কামারুল্লাহ সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া খানম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজ তরুণেরা কিছু মানুষের প্ররোচণায় জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে। তারা বিভ্রান্ত হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। অথচ তাদের মধ্যে সংস্কৃতি চর্চার আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারলে আমাদের সমাজ আরও এগিয়ে যেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে তরুণদের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনার সৃষ্টি করতে হবে।
বক্তারা বলেন, রাজশাহী থিয়েটার ৩২ বছর আগে যে উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল তা ধরে রাখতে হবে। আগামীতে তাদের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের কথার ফাঁকে ফাঁকে চলে শিশু সংগঠন ভোর হলো’র রাজশাহীর শিশুশিল্পীদের নাচ, গান, কবিতা। নাটিকা পরিবেশন করেন থিয়েটারের শিল্পীরা। সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেণী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তারা রাজশাহী থিয়েটারের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসএস/এমজেএফ