সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজের নৌ-পরিবহন কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শাজাহান খান আরো বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে নৌ-পথ ও নৌ-বন্দরের উন্নয়নসহ আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অন্যতম দর্শনীয় সমুদ্রসৈকত হচ্ছে কুয়াকাটা। কুয়াকাটাকে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সে পরিকল্পনার আওতায় কক্সবাজারের মতো কুয়াকাটায়ও মেরিন ড্রাইভ সড়ক তৈরি করা হবে। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বিশাল একটি অ্যাকুরিয়াম, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, গলফ গ্রাউন্ড, সিনেপ্লেক্স, লাইট হাউজ নির্মাণ করা হবে। এমনকি কুয়াকাটায় বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ. লীগ আবারও সরকার গঠন করবে। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ না এসে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সারাদেশে চলমান উন্নয়ন ব্যাহত হবে।
কুয়াকাটা সৈকতে বুধবার বিকেলে আয়োজিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল বারেক মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মাছুমুর রহমান, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো তানভীর রহমান, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজের মালিক মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ফিতা কেটে দ্রুতগতির গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজের নৌযানের যাত্রীসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
কাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় সাগরকন্যা কুয়াকাটা থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে পর্যটকদের নিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে। কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবনে যেতে তিন ঘন্টা সময় লাগবে বলে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এমএস/জেএম