যশোর উপ শহরে দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইজতেমায় কমপক্ষে দেড় লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর থেকেই জেলার বাইরে থেকে তাবলিগ জামাত আসা শুরু করে।
এদিকে, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজতেমা এলাকায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৪ টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের এ ইজতেমা।
ইজতেমার প্রধান জিম্মাদার রেজাউল ইসলাম রাজু বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমার জন্য উপশহর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ ও ক্রীড়া উদ্যান, ডিগ্রি কলেজ, বাদশা ফয়সাল স্কুল, উপশহর পার্ক ও শাপলা কিন্টার গার্টেন মাঠ আগেই প্রস্তুত করা হয়েছে। এক হাজারের বেশি অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। মুসল্লিদের বিশুদ্ধ পানির জন্য ইজতেমা এলাকায় পাঁচটি ট্যাংকসহ ২৬টি টিউবয়েল বসানো হয়েছে। এছাড়া উপশহর পার্ক সংলগ্ন পুকুরে, ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ১০টি স্থানে আগত মুসল্লিদের ওযু করার ব্যবস্থা থাকছে।
ইজতেমার অপর জিম্মাদার আনছার আলী বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে প্রশাসন থেকে ইজতেমা এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ২৪টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ইজতেমায় আগত অসুস্থ মুসল্লিদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া ইজতেমায় মুসল্লিদের ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরআইএস/